বিস্তারিত সংবাদ

খুলনা ও সিলেটে শুরু হচ্ছে সুফিজমের উপর ডিআইআরআই আন্তর্জাতিক ছবি প্রদর্শনী
Date:2023-02-09
আলোকচিত্রের মাধ্যমে সুফিজমকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে খুলনায় শুরু হচ্ছে ৪ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছবি প্রদর্শনী। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারীতে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)’র উদ্যোগে এবং ইমেজ ঘর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনী। প্রদর্শনী চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
গত অক্টোবরে ডিআইআরআই’র উদ্যোগে ও সৃজনশীল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, গ্লোবাল ফটোগ্রাফিক ইউনিয়ন, সিলি সানাত সারাইয়ি ও চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহযোগিতায় আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতা।
বিশ্বের ৫১টি দেশের ৭২৪ জন আলোকচিত্রী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। মোট ২৫৭৮টি ছবি থেকে চারটি ক্যাটাগরিতে ৫৯ জন আলোকচিত্রীর ১৫১টি ছবিকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিযোগিতা থেকে ২০০টি ছবি বাছাই করা হয় প্রদর্শনীর জন্য। এসব নির্বাচিত ছবি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে প্রদর্শনী।
আগামি ১৩ ফেব্রুয়ারি সমাপনী অনুষ্ঠানের দিন প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন প্রদর্শনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ও ডিআইআরআই’র ট্রাস্টি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) এবং ডিআইআরআই’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীসহ অতিথিরা।
এছাড়া আগামি ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)’র উদ্যোগে এবং সিলেট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহযোগিতায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শুরু হবে ৩ দিনব্যাপী ছবি প্রদর্শনী।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ডিআইআরআই’র উদ্যোগে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) স্মারক বক্তৃতা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আশুতোষ প্রফেসর ড. অমিত দে এবং প্রধান অতিথি থাকবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি সিলেটে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ‘সানডে ইনভাইটেড টক’ ও ২০ ফেব্রুয়ারি মাইজভাণ্ডারী শাহ এমদাদীয়া ব্লাড ডোনার্স গ্রুপের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মুজিব জাহান রেড ক্রিসেন্ট রক্ত কেন্দ্রের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি।

কারিগরি শিক্ষাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে
Date:2023-02-05
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব ড. মো. আবদুল করিম বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষায় আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। আমরা যদি বিজ্ঞান, গণিত, ইংরেজি এসব শিখতে না পারি তাহলে আমরা আরও পিছিয়ে যাবো। আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের শাহ এমদাদীয়া কনফারেন্স রুমে আয়োজিত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (জিএএমপিআই) ২০২২-২৩ শিক্ষাবষের্র ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মো. আবদুল করিম বলেন, সাধারণ শিক্ষার প্রতি আমাদের নজর বেশি এবং কারিগরি শিক্ষার প্রতি অবহেলা রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার প্রতি আমাদের যেসব ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তা দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের নানা সেক্টরে বিদেশিরা কাজ করে কারণ আমরা নিজেদের সেভাবে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যেসব মেগাপ্রকল্প চলমান সেসব প্রকল্পে অন্য দেশ থেকে লোক আনতে হয়। এসব কারণে আমাদের টাকা অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। সেজন্য আমাদের দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।
কারিগরি শিক্ষার প্রসারে এগিয়ে আসায় গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাবেক মূখ্য সচিব ড. মো. আবদুল করিম।
সভাপতির বক্তব্যে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.টি.এম কামরুল ইসলাম, গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মো. আবদুল বাতেন, কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিমুল কান্তি মহাজনসহ জিএএমপিআই’র শিক্ষকবৃন্দ ও ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর চেহলাম অনুষ্ঠিত
Date:2023-01-28
মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর চেহলাম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে এ চেহলাম অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ আসর চেহলাম শরীফ উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) এবং আওলাদে গাউছুল আজম শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ এরহাম হোসাইন ও শাহজাদা সৈয়দ মানাওয়ার হোসাইন।
নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর চেহলামে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাইজভাণ্ডারে আসেন আশেক-ভক্তরা।
এতে মিলাদ পরিচালনা করেন আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের দারুততায়ালীম প্রধান শিক্ষক মওলানা জয়নাল আবেদীন ছিদ্দিকী। মোনাজাত শেষে আগত ভক্ত-আশেকানদের মধ্যে ফলাহার বিতরণ করা হয়। গত ২৪ জানুয়ারি গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হযরত কেবলার ১১৭তম বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম শাহ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ছাড়াও এ বছর ভারত, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে কয়েক লাখ ভক্ত-আশেকান ওরশে অংশ নেন।

আখেরি মোনাজাতে সমাপ্ত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ১১৭ তম ওরশ
Date:2023-01-24
লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর ১১৭তম বার্ষিক ওরশ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় এবং নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাইজভাণ্ডারে আসেন আশেক-ভক্তরা।
বাংলাদেশ ছাড়াও ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, চায়না, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ নিতে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আসেন।
সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘অলিগণ রাসূলের প্রতিনিধি। তাদের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। ইসলামের ক্রাান্তি লগ্নে সবসময় সুফীসাধকরাই ধর্মের আধ্যাত্মিক ও শরীয়তের অবকাঠামোর রক্ষকের ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়েছেন। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও বিশ্বাসের সাাথে সমাজ সংস্কৃতির নৈতিক সংস্কারে আধ্যাত্মিক পূর্ণতা লাভের কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী শাহসুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) মাইজভাণ্ডারী তরিকা প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী তরিকা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির মেলবন্ধনের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক রূপ। এ তরিকার অনুসারীরা ঐশি প্রেমনির্ভর শিক্ষা ও ইসলামী শরীয়তভিত্তিক চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন খান অ্যাগ্রো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দুল হক খান, ফনিক্স শিপিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত ও চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের এবং আওলাদে গাউছুল আজম শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ এরহাম হোসাইন ও শাহজাদা সৈয়দ মানাওয়ার হোসাইন। আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সচিব শেখ মুহাম্মদ আলমগীরের পরিচালনায় ওরশে মিলাদ পরিচালনা করেন দারুত তায়ালীম প্রধান শিক্ষক মওলানা জয়নাল আবেদীন ছিদ্দিকী। ওরশ উপলক্ষে নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্কিংসহ মেহমানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে থাকা, সময়মতো জামাত সহকারে নামাজ আদায়, বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, আলোকসজ্জা, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশ উপলক্ষে সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় এবং নায়েব সাজ্জাদানশীন, মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০ দিন ব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল: ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান; দারুল ইরফান শিক্ষা পরিবার সমাবেশ এবং প্রবাসী সদস্যদের পুনর্মিলনী ও তাসাউফ সংলাপ; শিক্ষা উৎসব ২০২৩, বিজ্ঞান প্রযুক্তি মেলা ও বিজ্ঞান বক্তৃতা এবং বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড; গাউছিয়ত নীতি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ, ছোটদের সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী বই প্রকাশ, আল বয়ান লিমা ইউশগিলুল আযহান বাংলা প্রকাশ, বেলায়েতে মোতলাকা ইংরেজী ভার্সন প্রকাশ, জ্ঞানের আলো প্রকাশ ও সকল বইয়ের ই-ভার্সন প্রকাশ; ক্লীন এন্ড গ্রীন কর্মসূচী ও খলিফায়ে গাউছুল আজম ও অন্যান্য দরবারের আওলাদগণের উপস্থিতিতে তাসাউফ সংলাপ; রক্তদান কর্মসূচি, ব্লাড ডোনার্স পুনর্মিলনী ও সেমিনার; স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ; শিক্ষক সমাবেশ ও সানডে ইনভাইটেড টক; হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর (ক.) এঁর মাজার শরীফে গিলাফ চড়ানো। এছাড়াও ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি প্রতিদিন বাদে মাগরিব থেকে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র খতমে কোরআন শরীফ, হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এঁর জীবন, কর্ম শিক্ষা ও তাসাউফ ভিত্তিক আলোচনা ও মাইজভাণ্ডারী ছেমা মাহফিল। ওরশ উদযাপন উপলক্ষে ভক্তদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। সুষ্ঠুভাবে ওরশ সমাপ্ত করতে সহযোগিতা করায় ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।

গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর রওজায় চড়ানো হলো গিলাপ
Date:2023-01-23
মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর ১১৭তম বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে তাঁর মাজারে গিলাপ চড়ানো হয়েছে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর রওজায় গিলাপ চড়ান গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) ও নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খান অ্যাগ্রো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দুল হক খান, মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত ও চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর এবং আওলাদে গাউছুল আজম শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ এরহাম হোসাইন ও শাহজাদা সৈয়দ মানাওয়ার হোসাইন।
পরে রওজা প্রাঙ্গণে তাওয়াল্লোদে গাউছিয়া, জিকির ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।
মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী মওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) প্রকাশ হযরত কেবলার ১১৭তম ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাইজভাণ্ডারে এসেছেন আশেক-ভক্তরা।
বাংলাদেশ ছাড়াও ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, চায়না, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ নিতে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে এসেছেন।
ওরশের প্রধান দিবস মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল শাহী ময়দানে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি শৃংখলা, কল্যাণ ও মুক্তি কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)। ওরশ উপলক্ষে নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্কিংসহ মেহমানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে থাকা, সময়মতো জামাত সহকারে নামাজ আদায়, বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, আলোকসজ্জা, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।