বিস্তারিত সংবাদ

চবির গবেষণা উৎসবে ডিআইআরআই’র অংশগ্রহণ
Date:2023-02-27
সুফিজমের উপর গবেষকদের বিভিন্ন গবেষণাকর্ম সবার সামনে উপস্থাপন ও জানানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রকাশনা মেলায় অংশগ্রহণ করেছে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চবির শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া গবেষণা মেলায় দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত জার্নাল, লেখা ও বই প্রদর্শন করা হয়। সোমবার দুপুরে গবেষণা মেলায় দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্টল ও অন্যান্য স্টল পরিদর্শন করেন ডিআইআরআই ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী।
এসময় সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট সুফিজম নিয়ে গবেষণা করে। মানুষের কল্যাণে মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী কর্তৃক গৃহীত নানা উদ্যোগ গবেষণার মাধ্যমে সবার সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সুফিসাধক ও তাঁদের কর্ম সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম এবং বিশ্ববাসীকে জানানোর প্রয়াস আমাদের প্রকাশনার মাধ্যমে।
গবেষণাকে এবং চট্টগ্রামের সব প্রতিষ্ঠানের গবেষণার বৈচিত্র্যকে সবার সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র এবং চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে “চট্টগ্রাম রিসার্চ ফেস্টিভ্যাল” শীর্ষক এ মেলা আয়োজন করা হয়।
এছাড়া এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহায়তায় এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত একুশে বই মেলায়ও অংশগ্রহণ করছে ডিআইআরআই’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাইজভাণ্ডারী প্রকাশনী।

শাবিপ্রবিতে গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত
"সুফীজম ধর্মীয় বিভাজন দূর করে"
Date:2023-02-19
মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর পবিত্র স্মৃতির স্মরণে স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিআইআরআই)'র উদ্যোগে এবং মাইজভাণ্ডার গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মারক বক্তৃতা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আশুতোষ প্রফেসর ড. অমিত দে।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. অমিত দে বলেন, সুফীজম মানবতার কথা বলে। ধর্মীয় বিভাজন দূরীভূত করে সহাবস্থান নিশ্চিত করে। মানবতা, বহুত্ববাদ ও সম্প্রীতি সুফিবাদের মূলকথা।
তিনি বলেন, হযরত মওলানা শাহ্ছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) প্রবর্তিত মাইজভাণ্ডারী তরিকা বাংলাদেশ থেকে উদ্ভৃত একমাত্র তরিকা, যা আজ থেকে ২০০ বছর পূর্বে মাইজভাণ্ডার গ্রামে উৎপত্তি লাভ করে তাসাউফ চর্চা তথা আত্মশুদ্ধি লাভের এক অন্যতম তরিকা হিসেবে পরিচিতে লাভ করেছে। এই তরিকার শিক্ষা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ধর্মীয় সংঘাত নিরসন করে ধর্মীয় সহাবস্থান নিশ্চিত করণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে চলেছে।
ডিআইআরআই'র ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারক বক্তৃতা আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল গণি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান এবং চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রধান কাযী মো. সাইফুল আচফিয়া।
বক্তারা বলেন, উপমহাদেশের সুফীরা ধর্মীয় আচার পালনের মধ্য দিয়ে তরিকতের প্রচার করেছেন। সুফীরা সংস্কৃতির নানা বিষয়ের সঙ্গে ধর্মীয় আচারের মেলবন্ধন তৈরি করে মানুষকে হেদায়তের জন্য সৃষ্টিকর্তার পথ দেখিয়ে গেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী, আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আলমগীর তৈমুর, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুৃল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক, সহকারী প্রক্টর আহসান হাবিব, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তানিয়া জান্নাতুল কুবরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২ শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন।

ডিআইআরআই’র উদ্যোগে বিজ্ঞান বক্তৃতা ও তাসাউফ সংলাপ অনুষ্ঠিত
Date:2023-02-17
দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই) ও মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজ্ঞান বক্তৃতা।গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)’র পৃষ্ঠপোষকতায় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘বিজ্ঞান ও নৈতিকতায় জীবন গড়ি’। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ডিআইআরআই’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে বিজ্ঞান বক্তৃতা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন প্রফেসর (ইমেরিটাস) ড. এম শমশের আলী।
ড. এম শমশের আলী বিজ্ঞানের নানা বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আমাদের বিজ্ঞান চর্চা করতে হবে। আমাদের চিন্তার পরিধি বাড়াতে হবে। জানার জন্য পড়তে হবে। ড. এম শমশের আলী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নৈতিকতা চর্চা করতে হবে। ইসলাম কোনো উদ্বত্য সমর্থন করে না। নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে বিজ্ঞান বক্তৃতা আয়োজন করেছি। আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবিক মুল্যবোধ জাগ্রত হোক এবং পাশাপাশি বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিকজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ তৈরি হোক। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও ধর্মের কোনো সংঘর্ষ নেই। দুই ধরণেরই শিক্ষা আমাদের গ্রহণ করতে হবে জীবনে এগিয়ে যেতে হলে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ আবু ছালেহ পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল আলম শাহীন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস.এম. মুর্শিদ-উল আলম।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলশীস্থ ডিআইআরআই সেন্টারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় তাসাউফ সংলাপ। ডিআইআরআই’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে তাসাউফ সংলাপে প্রধান অিতিথি ছিলেন প্রফেসর (ইমেরিটাস) ড. এম শমশের আলী। তাসাউফ সংলাপে সুফিজমের নানা বিষয় নিয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সুফিজম মানুষকে সাম্যের বাণী শোনায়
Date:2023-02-13
আলোকচিত্রের মাধ্যমে সুফিজমকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির চিত্র শালায় আয়োজিত চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছবি প্রদর্শনী সমাপ্ত হয়েছে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় এ প্রদর্শনী শেষ হয়। দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)’র উদ্যোগে এবং ইমেজ ঘর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহযোগিতায় শুক্রবার থেকে আয়োজন করা হয় এই প্রদর্শনী।
সমাপনী উপলক্ষে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ডিআইআরআই’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও মাইজভাণ্ডার গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ডিআইআরআই আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটির স্যালুন চেয়ারম্যান শোয়েব ফারুকী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শাহ জালাল, সরকারী সুন্দরবন কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মো. মিজানুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ, ইমেজ ঘর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহ-সভাপতি মো. মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুগ্মসম্পাদক জাহিদুল ইসলাম পলাশ, প্রদর্শনী সম্পাদক আতিকুল হক সুমন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. হাশেম আহমেদ।
সভায় বক্তারা বলেন, সুফিজম মানুষকে সাম্যের বাণী শোনায়। আয়োজিত প্রদর্শনীর মাধ্যমে সুফিজমের নানা নিদর্শন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছে মানুষ। এছাড়া সমাপনী দিন প্রেমের তরী সুফি সংগীতালয়ের উদ্যোগে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মাইজভাণ্ডারী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির চিত্র শালায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইমেজ ঘর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি এবং গাজী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. গাজী মিজানুর রহমান।
গত অক্টোবরে ডিআইআরআই’র আয়োজনে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, গ্লোবাল ফটোগ্রাফিক ইউনিয়ন, সিলি সানাত সারাইয়ি ও চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহযোগিতায় আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতা।
বিশ্বের ৫১টি দেশের ৭২৪ জন আলোকচিত্রী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। মোট ২৫৭৮টি ছবি থেকে চারটি ক্যাটাগরিতে ৫৯ জন আলোকচিত্রীর ১৫১টি ছবিকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিযোগিতা থেকে ২০০টি ছবি বাছাই করা হয় প্রদর্শনীর জন্য। এসব নির্বাচিত ছবি নিয়ে আয়োজন করা হয় প্রদর্শনী।

খুলনায় শুরু হয়েছে ৪ দিনব্যাপী ডিআইআরআই আন্তর্জাতিক ছবি প্রদর্শনী
Date:2023-02-11
আলোকচিত্রের মাধ্যমে সুফিজমকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে খুলনায় শুরু হয়েছে ৪ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছবি প্রদর্শনী। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির চিত্র শালায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইমেজ ঘর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি এবং গাজী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. গাজী মিজানুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. গাজী মিজানুর রহমান বলেন, ছবির মাধ্যমে সুফিজমকে মানুষের কাছে জানানোর যে প্রচেষ্টা তা খুবই প্রশংসনীয়। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। প্রদর্শনীর ছবিগুলোতে সুফিজমের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি স্থান পেয়েছে। দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ডিআইআরআই)’র উদ্যোগে এবং ইমেজ ঘর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনী। প্রদর্শনী চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
উদ্বোধনের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ছবি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক, উন্নয়ন) মো. আব্দুর রশিদ। এসময় তিনি প্রদর্শনীর আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে নানা বিষয় সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে।
গত অক্টোবরে ডিআইআরআই’র আয়োজনে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, গ্লোবাল ফটোগ্রাফিক ইউনিয়ন, সিলি সানাত সারাইয়ি ও চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহযোগিতায় আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতা।
বিশ্বের ৫১টি দেশের ৭২৪ জন আলোকচিত্রী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। মোট ২৫৭৮টি ছবি থেকে চারটি ক্যাটাগরিতে ৫৯ জন আলোকচিত্রীর ১৫১টি ছবিকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিযোগিতা থেকে ২০০টি ছবি বাছাই করা হয় প্রদর্শনীর জন্য। এসব নির্বাচিত ছবি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে প্রদর্শনী।
আগামি ১৩ ফেব্রুয়ারি সমাপনী অনুষ্ঠানের দিন প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন প্রদর্শনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ও ডিআইআরআই’র ট্রাস্টি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) এবং ডিআইআরআই’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি ও গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীসহ অতিথিরা। এছাড়া সমাপনী দিন প্রেমের তরী সুফি সংগীতালয়ের উদ্যোগে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মাইজভাণ্ডারী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।